ট্রেন এইটটিন। ভারতের প্রথম ইঞ্জিন বিহীন ট্রেন।
চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল ফ্যাক্টরিতে (IFC) তৈরি এই ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে ২৯ অক্টোবর। শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরবর্তী পর্যায়ের গতিশীল ট্রেন হিসেবে ভাবা হয়েছে এই ট্রেন এইটটিনকে। ঘন্টায় ১৬০ কিমি বেগে ছুটবে এই ট্রেনটি। অনেকে এটিকে বুলেট ট্রেন বলে প্রচার করছে, যদিও সেটি ঠিক নয়।
গত ১৮ মাসে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে পূর্ণ এসির এই ট্রেনটি তৈরি হয়েছে। ইঞ্জিন বিহীন এই ট্রেনটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে যাত্রীরা চালকের কেবিনটি অনায়াসেই দেখতে পাবেন। আইসিএফ-এর জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মানি জানিয়েছেন, একশো কোটি টাকা খরচ পড়েছে এই ট্রেনটি তৈরি করতে। যা বাইরে থেকে এই জাতীয় কেনা কোচের প্রায় ৮০ শতাংশ। পরবর্তী পর্যায়ে একই ধরনের ট্রেন তৈরির কাজ শুরু হলে, খরচ আরও কম পড়বে।
ট্রেন এইট্টিনের মেইন ফিচার গুলি
ট্রেন এইটটিন তৈরি হয়েছে ১৮ মাসে ট্রেনে রয়েছে সিসিটিভি, ডিফিউস লাইটিং, স্বয়ংক্রিয় দরজা, জিপিএস ভিত্তিক প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম। ট্রেনটি কোনও স্টেশনে পৌঁছলে স্বয়ংক্রিয় দরজা খুলে যাবে এবং সিড়িও বেরিয়ে আসবে, যাতে যাত্রীরা স্বচ্ছ্বন্দে ও সাবধানে নামতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নিরিখে পদবিন্যাসের সমন্বয়সাধনও করা যাবে।
ভিতরের সজ্জাতেও নতুনত্ব
ট্রেনের ভিতরে থাকছে সিসিটিভি। থাকছে কেন্দ্রীয় বাতানুকুল ব্যবস্থা। ৫২ আসন বিশিষ্ট দুটি একজিকিউটিভ কমপার্টমেন্ট থাকছে। বাকি কম্পার্টমেন্টের আসন সংখ্যা ৭৮।
পরবর্তি শতাব্দী
শতাব্দীর থেকে ১৫ শতাংশ কম সময় লাগবে এই ট্রেনে। কেননা ১৬ কোচের এই ট্রেনে শতাব্দীর মতো আলাদা কোনও ইঞ্জিন থাকছে না। ফলে ইঞ্জিন বদলানোর কোনো ঝামেলাও থাকছে না।
ট্রায়াল রানের পর কাজ শুরু
ট্রেনটিকে সামনে আনা হবে ২৮ অক্টোবর। চেন্নাইয়ে ট্রায়াল রান ২৯ অক্টোবর।
দুই ধরণের ট্রায়াল হবে। একটি ৫০ কিলোমিটারের ও অন্যটি ১০০ কিলোমিটারের। চারদিন ধরে এই কাজ চলবে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে তা তুলে দেওয়া হবে রিসাচ্র ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের হাতে। অনুমোদন পাওয়ার পরে তা সাধারণ যাত্রীদের জন্য খোলা হবে। সূত্রের খূবর অনুযায়ী প্রথমে এই ট্রেন চলবে বরেলি থেকে মোরাদাবাদের মধ্যে। পরে অন্য রুটে চালানো হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এরপর যে গতিশালী ট্রেন আনা হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ট্রেন টোয়েন্টি।
ছবি সৌজন্য: রেলমন্ত্রীর ট্যুইটার





0 Comments